আপনারা অনেকে জানতে চান প্রসেসর কি,কাকে বলে,এর কাজ কি,দাম কত,এটা কত প্রকার ও কি কি, কোনটা ভালো , কোনটা খারাপ, কোনটা কোন কাজে ব্যবহার করা হয়, মোবাইল প্রসেসসর কি,কাজ কি,কোনটা ভালো ইত্যাদি সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো, আমি আশা করি যে, এইটি পড়লে আপনাদের মাঝে আর কোন সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকবে না। আর শেষে আমরা কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নেরও উত্তর দিয়ে দিবো যেগুলা আপনাদের মনে আর কৌতূহল জাগাতে পারে। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করি।
প্রসেসর কি বা প্রসেসর কাকে বলে
প্রসেসর কি বা প্রসেসর কাকে বলে এটা কয়েকভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় , আমরা ধাপে ধাপে সবগুলোই জানবো। সহজ কথায় প্রসেসর বলতে মূলত CPU বা Central Processing Unit (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) কেই বুঝি। প্রসেসর হচ্ছে একটি কম্পিউটারের “মস্তিষ্ক” স্বরূপ।
এটি যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ইনপুট থেকে সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণ করে, তা প্রক্রিয়াকরণ করে এবং আউটপুট প্রদান করে। আপনি যেই কাজটি কম্পিউটারে করেন যেমনঃ টাইপ করা, ভিডিও দেখা, গেম খেলা, ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, ইত্যাদি এগুলোর প্রত্যেকটির পেছনেই প্রসেসরের বিশেষ অবদান আছে।
একদম সহজ কথায় বলতে গেলে, প্রসেসর হচ্ছে যে সবকিছু প্রসেস করে। অর্থাৎ আমাদের সকল অনুরোধগুলোকে প্রসেস করে সেটাকে ভিজুয়াল আকার দিয়ে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে।
কম্পিউটারে বা স্মার্টফোনে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ থাকলেও যদি প্রসেসর না থাকে , তাহলে এই যন্ত্রগুলো কোনো কাজেই আসবে না। কারন, এটি সকল, প্রকার নির্দেশনা অনুসরণ করে ও ডিভাইসের প্রতিটি হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
প্রসেসরের পূর্ণরূপ কি
প্রসেসরের (CPU) পূর্ণরূপ হচ্ছে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট । যা ইংরেজিতে Central Processing Unit বলা হয়।
প্রসেসর এর কাজ কি
প্রসেসর ইন্সটকশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল প্রকার অপারেশন নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পাদন করে থাকে । অর্থাৎ আমরা যখন কম্পিউটার চালানোর সময় কম্পিউটাররের মধ্যে বিভিন্ন কমান্ড (Command) দিয়ে থাকি, সেগুলোকে প্রসেসর প্রসেসিং করে এবং তা আমাদের ডিসপ্লেতে পপ্রদর্শন করে।
প্রসেসর এর মূল কাজগুলো হচ্ছে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ (Data Processing), নির্দেশনা কার্যকর (Execute Instructions),তথ্য আদান-প্রদান (Communication), নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ (Decision Making & Control) । এখন আমরা এইগুলো কি,সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
১.ডেটা প্রক্রিয়াকরণ (Data Processing):
প্রসেসর থেকে ইনপুট হিসেবে পাওয়া সকল ডেটা প্রসেস করে তা আউটপুট হিসেবে তৈরি করে।
উদাহরণসরূপঃ যদি আপনি ক্যালকুলেটরে ৫+৩ চাপেন, তাহলে প্রসেসর আপনাকে সেই গাণিতিক হিসাব করে আউটপুট হিসেবে ৮ দেয়।এটাই হচ্ছে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ বা Data Processing ।
২.নির্দেশনা কার্যকর (Execute Instructions):
সফটওয়্যারের প্রতিটি কমান্ড/নির্দেশ প্রসেসর খুব মনোযোগসহকারে পড়ে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে।
উদাহরণসরূপঃ আপনি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে যেকোনো কিছু টাইপ করলে ,এখন প্রতিটি কী বা word প্রেস করার পর প্রসেসর সেটি পর্দায় দেখায়। এটাই হচ্ছে নির্দেশনা কার্যকর বা Execute Instructions ।
৩.তথ্য আদান-প্রদান (Communication):
প্রসেসর বা মেমোরি (RAM), স্টোরেজ (SSD/HDD), ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে।
উদাহরণসরূপঃ আপনি যখন মোবাইল থেকে কিংবা কম্পিউটার ফটো গ্যালারি খোলেন,তখন প্রসেসর RAM থেকে ডেটা নিয়ে তা আপনাকে স্ক্রিনে দেখায়। এটাই হচ্ছে তথ্য আদান-প্রদান বা Communication
৪.নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ (Decision Making & Control):
কোনটি আগে হব বা কোন নির্দেশনা আগে চলবে,প্রসেসর সেটি ঠিক করে। এটি সমস্ত ডিভাইসের উপাদানকেও নিয়ন্ত্রণ করে। এটাই হচ্ছে নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ বা Decision Making & Control.
আরও যদি কিছু উদাহরণ আপনাকে দেই, তাহলে আপনি আরও বিশভাবে বুঝতে পারবেন বা জানতে পারবেন। তো এখন আপনাকে সেটিও দিয়ে দিচ্ছি।
উদাহরণ-১ঃ গেম খেলা
আপনি অবশ্যই হয়তো PUBG বা Free Fire গেম খেলছেন!?
- প্রসেসর গেমের ইঞ্জিন চালায়।
- গেমের গ্রাফিক্স (Graphics),প্রসেসর (GPU)-কে কমান্ড করে
- রিয়েল-টাইমে ইনপুট ( real time input ) (আপনার টাচ বা মুভমেন্ট) প্রসেস করে।
- প্রসেসর গেমের প্রতিটি চলাফেরা, গুলি, দৌড়, ঝাঁপ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে।
উদাহরণ-২ঃ মোবাইলে ছবি তোলা
- ক্যামেরায় ক্লিক করলে প্রসেসর সেন্সর থেকে ডেটা নেয়।
- ছবির রং, আলো, শার্পনেস ( Sharpness) প্রসেস করে।
- তারপর ফাইল হিসেবে সেটি মেমোরিতে সংরক্ষণ করে।
প্রসেসরের ৩টি প্রধান কাজ এক বাক্যে
Fetch → Decode → Execute
অর্থাৎ, নির্দেশনা আনা → বুঝা → কার্যকর করা।
প্রসেসর এর প্রকারভেদ
বর্তমান বাজারে যে সকল প্রসেসর পাওয়া যায় তা হচ্ছে Intel,AMD (Advanced Micro Device), sirex ( একে আই বি এম ও বলা হয়)। তবে একটা কথা যে সারা বিশ্বে ইন্টেল (Intel) ও AMD এর প্রসেসর বেশি ব্যাবহার করা হয়।
প্রসেসসর এর কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে একে ৬ ভাগে ভাগ করা হয়েছে বা ৬ ধরনের কম্পিউটার প্রসেসর এখন পর্যন্ত উদ্ভাবন হয়েছে। যথাঃ সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU), মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor), মাইক্রোকন্ট্রোলার (Microcontroller), গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU), ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসর (DSP), মাল্টিকোর প্রসেসর (Multi-core Processor) ।
১.সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU)
এটি হলো কম্পিউটার বা মোবাইলের মূল প্রসেসর। যা সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
বাস্তব উদাহরণঃ
- কম্পিউটারে ব্যবহৃত CPU যেমনঃ Intel Core i5, AMD Ryzen 5 ইত্যাদি।
- মোবাইলে ব্যবহৃত CPU যেমনঃ MediaTek Helio G99, Qualcomm Snapdragon 8 Gen 2 ইত্যাদি।
এটি Fetch → Decode → Execute করে ডেটা প্রসেস করে থাকে।
২.মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor)
এটি একটি পূর্ণাঙ্গ CPU যা একটি চিপের (IC) মধ্যে থাকে।যা সাধারণত ছোট ও embedded সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বাস্তব উদাহরণঃ
- Intel 8085, Intel 8086, Zilog Z80 ইত্যাদি।
- ডিজিটাল ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মাইক্রোকন্ট্রোলার ডিভাইসেও ব্যবহৃত হয়।
৩.মাইক্রোকন্ট্রোলার (Microcontroller)
এটি ছোট ডিভাইসে ব্যবহৃত এক ধরনের প্রসেসর, যার মধ্যে CPU, RAM, ROM, এবং Input/Output সিস্টেম থাকে।
- বাস্তব উদাহরণঃ Arduino UNO (ATmega328P Microcontroller), ESP32
- রোবট, স্মার্ট ওয়াচ, ফ্যান রিমোট, IoT ডিভাইসে ব্যবহার হয়।
৪.গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU)
এটি মূলত গ্রাফিক্স বা ভিডিও রেন্ডারিং( Randing) এর কাজে ব্যবহৃত হয়। গেমিং, ভিডিও এডিটিং, ও মেশিন লার্নিং ইত্যাদিতেও ব্যবহৃত হয়।
বাস্তব উদাহরণঃ
- NVIDIA RTX 3060, AMD Radeon RX 6600
- মোবাইল GPU: Adreno 740 (Snapdragon), Mali-G610 (MediaTek)
- এটি ছবির রং, ছায়া, আকার রেন্ডার করতে ব্যবহার করা হয়।
৫.ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসর (DSP)
এটি নির্দিষ্টভাবে অডিও, ভিডিও, সেন্সর ডেটা ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ব্যবহার হয়।
বাস্তব উদাহরণঃ
- Texas Instruments TMS320 series
- অডিও রেকর্ডার, মোবাইল ফোনের কল সিস্টেম, ওয়াশিং মেশিনে ব্যবহৃত হয়।
৬.মাল্টি কোর প্রসেসর (Multi-core Processor)
একাধিক কোর বা প্রসেসর একসাথে কাজ করে। এতে একসাথে অনেক কাজ দ্রুত করা যায়।
বাস্তব উদাহরণঃ
- Dual-core, Quad-core, Octa-core CPU
- যেমনঃ Snapdragon 8 Gen 2 – Octa-core (8 কোর)
আবার,এই মাল্টি কোর প্রসেসর (Multi-core Processor) ৬ প্রকার। যথাঃ
- Single Core Processor (সিঙ্গেল কোর)
- Dual Core Processor (ডুয়াল কোর)
- Quad Core Processor (কোয়াড কোর)
- Hexa Core Processor (হেক্সা কোর)
- Octa Core Processor (অকটা কোর)
- Deca Core Processor (ডেকা কোর)
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এগুলো কি?তো আসুন এইগুলো সম্পর্কেও জেনে নেই। Dual Core হলো দুটি কোর, অর্থাৎ Dual Core কোর প্রসেসরে দুটি প্রসেসিং ইউনিট থাকে। ঠিক তেমনি- ,Quad Core = চারটি , Hexa Core = ছয়টি ,Octa Core = আটটি ,Deca Core = দশটি প্রসেসিং ইউনিট থাকে।
আবার প্রসেসরের বিভিন্ন সিরিজ হয়ে থাকে। আমাদের এই সিরিজের উপরও নজর দেওয়া উচিত। সিরিজ যত উন্নত হবে প্রসেসরের মান তত ভালো হবে।
ইনটেল (Intel) প্রসেসরের সিরিজগুলো হচ্ছেঃ
- Pentium Series – পেন্টিয়াম সিরিজ
- Seleron Series – সেলেরন সিরিজ
- Core Series – কোর সিরিজ
- i Series – আই সিরিজ
তেমনই AMD এর প্রসেসরগুলো হচ্ছেঃ
- Sempron -সেম্পরন
- A Thlon -এ থ্লন
- AMD A Thlon X2 -এ,এম,ডি, এ থ্লন এক্স টু
- AMD A Thlon 2 X2 -এ,এম,ডি, এ থ্লন টু এক্স টু
- AMD Phenom -এ,এম,ডি ফেনম
- AMD FX -এ,এম,ডি এফ এক্স
- AMD APU -এ,এম,ডি এ পি ইউ
আর তাই সবসময় নতুন মডেলের প্রসেসর কেনাই সব থেকে ভালো। তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আপনি যেই প্রসেসরটি কিনতেছেন সেটি আপনার মাদার্বোডে সাপোর্ট করে কিনা?!

প্রসেসর এর কয়টি অংশ
প্রসেসরের প্রধান তিনটি অংশ রয়েছে। যথাঃ
- ALU (Arithmetic Logic Unit) : সকল গাণিতিক ও যৌক্তিক কাজ করে
- CU (Control Unit): নির্দেশনাসমুহ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে থাকে
- Registers: অস্থায়ী ডেটাগুলো সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত ছোট একধরনের মেমোরি ইউনিট
প্রসেসর এর দাম
প্রসেসরের দাম নির্ভর করে এর ধরন বা প্রকার, পারফরম্যান্স, কোর সংখ্যা, ব্র্যান্ড, এবং এর বাজার চাহিদার উপর। সাধারণভাবে, উন্নত স্পেসিফিকেশনযুক্ত প্রসেসরের দাম একটু বেশি হয়। নিচে কম্পিউটার ও মোবাইল প্রসেসরের দাম আলাদাভাবে বিশদভাবে আলোচনা করা হলোঃ
সঠিক ও বাজার দাম দেখতে হলে আপনি তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিট করতে পারেন, এক্ষেত্রে আপনি একদম সঠিক দাম টায় জানতে পারবেন।
মোবাইল প্রসেসর | মোবাইল প্রসেসর কি
মোবাইল প্রসেসর হলো স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের প্রধান চিপ, যা ডিভাইসের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি System-on-Chip (SoC) নামেও পরিচিত।
মোবাইল প্রসেসর এর কাজ কি
মোবাইল প্রসেসরের মূল কাজ হলোঃ
- ফোনের অপারেটিং সিস্টেম চালনা করা
- অ্যাপ চালু ও পরিচালনা করা
- ব্যাটারি ব্যবস্থাপনা করা
- সেন্সর ও ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা
- ইন্টারনেট, কলিং, ভিডিও, গেম ইত্যাদি পরিচালনা করা
মোবাইল প্রসেসর কত প্রকার
মোবাইল প্রসেসর সাধারণত নিচের প্রকারভেদে ভাগ করা হয়ঃ
- Single-core
- Dual-core
- Quad-core
- Octa-core
- Deca-core
তবে বর্তমানে Octa-core বা Hybrid architecture (big.LITTLE) প্রসেসর সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
মোবাইল প্রসেসর কেনার সময় কি খেয়াল রাখতে হবে
- কোর সংখ্যা ও ক্লক স্পিড কত
- কোন প্রযুক্তিতে তৈরি (6nm, 4nm – ছোট মানে ভালো)
- AI ও GPU পারফরম্যান্স কেমন
- 5G সাপোর্ট আছে কি না
- রিয়েল লাইফ পারফরম্যান্স (ব্যাটারি/গরম হওয়া ইত্যাদি) কেমন
মোবাইল প্রসেসর রেংকিং
মাইক্রোপ্রসেসর কি | মাইক্রোপ্রসেসর কাকে বলে
মাইক্রোপ্রসেসর হল এটি একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) চিপ, যা একটি সম্পূর্ণ প্রসেসরের কাজ একাই সম্পন্ন করতে পারে। এটি ইনপুট ডেটা নিয়ে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রসেস করে আউটপুট প্রদান করে।
মাইক্রোপ্রসেসরের নির্দেশনার কাজ কি
মাইক্রোপ্রসেসর নির্দিষ্ট Instruction Set Architecture (ISA) অনুযায়ী কাজ করে। প্রতিটি নির্দেশনা এক একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। যেমন:
- Data move (MOV)
- Arithmetic (ADD, SUB)
- Logic (AND, OR)
- Branch (JMP, CALL)
এই নির্দেশনাগুলো অনুযায়ী মাইক্রোপ্রসেসর কাজ করে থাকে ।
মাইক্রোপ্রসেসর এর প্রধান কাজ কি?
- ইনস্ট্রাকশন ফেচ (Fetch) করা
- ডিকোড (Decode) করা
- এক্সিকিউট (Execute) করা
- রেজিস্টারে তথ্য সংরক্ষণ করা
- প্রোগ্রাম কাউন্টার আপডেট করা
পৃথিবীর প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর কোনটি
- বিশ্বের প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর: Intel 4004
- উদ্ভাবক: Intel Corporation
- বছর: ১৯৭১
- এটি ছিল ৪ বিটের প্রসেসর, এবং এটি সর্বপ্রথম গণহারে উৎপাদিত হয়।
মোবাইলের সবচেয়ে ভালো প্রসেসর কোনটি
২০২৫ সালের হিসেব অনুযায়ী মোবাইলের সবচেয়ে উন্নত প্রসেসরগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- Apple A17 Pro যা iPhone-এ ব্যবহৃত হয়
- Qualcomm Snapdragon 8 Gen 3 প্রায় সব ধরনের ফোনেই
- MediaTek Dimensity 9300
- Samsung Exynos 2400 (বাজারে নতুন)
এগুলো performance, AI, graphics ও efficiency-তে সেরা মানের।
মোবাইল ফোনে কয়টি প্রসেসর থাকে
সাধারণত মোবাইল ফোনে একটি প্রধান SoC (System on a Chip) থাকে, যার মধ্যে থাকে:
- CPU (প্রসেসর)
- GPU (Graphics)
- Modem (Internet/Calling)
- AI/ISP/DSP (ক্যামেরা, সেন্সর প্রক্রিয়া)
তবে মূল প্রসেসর হিসেবে ১টি CPU থাকে, যা অনেকগুলো কোরে বিভক্ত হয়ে থাকে (যেমন: Octa-core)।
মোবাইল প্রসেসর এর কাজ কি
মোবাইল প্রসেসরের মূল কাজ হলোঃ
- ফোনের অপারেটিং সিস্টেম চালনা করা
- অ্যাপ চালু ও পরিচালনা করা
- ব্যাটারি ব্যবস্থাপনা করা
- সেন্সর ও ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা
- ইন্টারনেট, কলিং, ভিডিও, গেম ইত্যাদি পরিচালনা করা
কম্পিউটারে CPU এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য কি?
CPU-এর মূল উদ্দেশ্যঃ
- ইউজারের ইনপুট অনুযায়ী নির্দেশনা বিশ্লেষণ করা
- সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ করা
- গাণিতিক ও লজিক্যাল অপারেশন সম্পন্ন করা
- মেমোরি ও ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান নিয়ন্ত্রণ করা
প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১.ওয়ার্ড প্রসেসর কি
ওয়ার্ড প্রসেসর হলো একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা দিয়ে আপনি কোন লেখা টাইপ করতে, সম্পাদনা করতে, সাজাতে এবং মুদ্রণ করতে পারেন। এর মাধ্যমে চিঠি, প্রতিবেদন, নিবন্ধ, রেজুমে ইত্যাদি খুব সহজেই তৈরি করা যায়।
উদাহরণসরূপঃ Microsoft Word, Google Docs, WPS Office Writer ইত্যাদি ।
২.ওয়ার্ড প্রসেসরের সুবিধা কতটি?
ওয়ার্ড প্রসেসরের সুবিধা ৫ টি
৩.ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা কোনটি?
ওয়ার্ড প্রসেসরের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছেঃ লেখা সহজে তৈরি ও সম্পাদনা করা।
এর মাধ্যমে আপনি টাইপ করা লেখা এক ক্লিকে কাটা, কপি করা, পরিবর্তন করা, কিংবা সাজিয়ে নিতে পারেন। কাগজে লেখার তুলনায় এটি অনেক দ্রুত, নির্ভুল ও প্রফেশনাল ফলাফল প্রদান করে।
৪.ওয়ার্ড প্রসেসর কি ধরনের প্রোগ্রাম?
ওয়ার্ড প্রসেসর হলো একটি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম (Application Program)।
৫.ওয়ার্ড প্রসেসর কি ধরনের সফটওয়্যার?
ওয়ার্ড প্রসেসর হলো একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software)।
৬.প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে কোন কোম্পানি?
প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে ইন্টেল কর্পোরেশন। ১৯৭১ সালে তারা সর্বপ্রথম ইন্টেল ৪০০৪ মডেলের মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে।
উপসংহারঃ
আশা করি যে আপনার মনে এখন আর কোন সন্দেহ নেই, ইতোমধ্যেই আপনি সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন এবং আপনার মনে যত প্রশ্ন ছিল সব এখন একদম পরিষ্কার হয়ে গেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব মনোযোগসহকারে পড়ার জন্য।
আরও পড়ুনঃ Find the Best Lawyer for Truck Accidents – Complete Guide